বুড়িগঙ্গা নদী থেকে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী আবু বকর আবুর লাশ উদ্ধারের ঘটনায় পুলিশ তদন্ত করে ব্যবস্থা নিবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা।
যশোর জেলা বিএনপির সহসভাপতি কেশবপুরের মজিদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু বকর আবু (৫৮) ঢাকায় এসে দলের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছিলেন। সাক্ষাতকারের আগের দিন পল্টনের এক হোটেল থেকে তিনি নিখোঁজ হন এবং বুধবার কেরানিগঞ্জে বুড়িগঙ্গা থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।স্বজনরা বলছেন, আবুকে অপহরণ করে তাদের কাছ থেকে এক লাখ ৭০ হাজার টাকা আদায় করা হলেও এই বিএনপি নেতাকে মুক্তি দেওয়া হয়নি।
বিএনপি এ হত্যাকাণ্ডের জন্য সরকারকে দায়ী করে বলেছে, ‘ক্ষমতাসীনদের মদদে পরিকল্পিতভাবে’ হত্যা করা হয়েছে ধানের শীষ নিয়ে ভোট করতে আগ্রহী যশোরের এই নেতাকে।শুক্রবার সাংবাদিকরা এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে সিইসি নূরুল হুদা প্রথমে বলেন, “পুলিশ ফৌজদারি মামলা করবে। আমরা তো কিছু করতে পারব না। কী ঘটনা ঘটেছে সেটা তো জানি না। ক্রিমিনাল কেস হবে, ইনভেস্টিগেশন করবে পুলিশ। দেখবে, কীভাবে তাকে মারা হয়েছে। এ ব্যাপারে তো আমার বলার কিছু নাই।”বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী পাঁচ নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে জানিয়ে বুধবার দলটির পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনে যে তালিকা দেওয়া হয়েছিল, সেখানেও আবুর নাম ছিল।এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে সিইসি বলেন, “আইনগতভাবে পুলিশ দোষীদের চিহ্নিত করে তাদের আইনের আওতায় নিয়ে নেবে। এটা নির্দেশ থাকবে পুলিশের ওপরে।”
আসন্ন নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, “আমরা ইভিএম পরীক্ষামূলকভাবে ব্যবহার করব। একেবারে সীমিত আকারে ব্যবহার, অথবা কয়েকটি আসনের কিছু সংখ্যক কেন্দ্রে ব্যবহার- এই দুটো জিনিস শনিবারের সভায় ঠিক হবে।”









