এবার বিয়ের বৈধতা নিয়ে গনভোট হচ্ছে। আর তা হচছে সমকামীদের বিয়ের বৈধতা দেয়া হবে কি না তা নিয়ে । তাইওয়ান নামক রাষ্টে আজ শনিবার এ গনভোট অনুষ্ঠিত হবে।
গনভোটের ফলাফল পক্ষে হলে তাইওয়ান হবে এশিয়ার প্রথম দেশ যেখানে সমলিঙ্গের বিয়ে বৈধতা পাবে।তাইওয়ানের সর্বোচ্চ আদালত অবশ্য অনেক আগেই এ ধরনের বিয়ের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিল। প্রয়োজনীয় আইনের সংশোধন কিংবা এ সংক্রান্ত নতুন আইন পাসে তাইপের সরকারকে দুই বছরের সময়ও দিয়েছিল তারা।
দেশটিতে সমলিঙ্গের বিয়ের পক্ষে তরুণদের জনসমর্থন থাকলেও গণভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠ নাগরিক বিপক্ষে রায় দেবে বলে গত সপ্তাহে হওয়া এক জরিপের ফলাফলে ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।স্থানীয় সরকার নির্বাচনের পাশাপাশি শনিবার দেশটিতে এ গণভোট হচ্ছে বলে জানিয়েছে বিবিসি। চীনের সঙ্গে তাইওয়ানের বিরোধ নতুন মাত্রা পাওয়ায় এবার স্থানীয় নির্বাচনের ওপরও বিশ্লেষকদের চোখ থাকছে।
তাইওয়ান নিজেকে স্বাধীন রাষ্ট্র দাবি করলেও, চীন একে নিজেদের অংশ হিসেবেই দেখে আসছে। তাইপের এখনকার সরকারের সঙ্গে বেইজিংয়ের টানাপোড়েনও প্রকাশ্য।সমলিঙ্গের বিয়ের বিষয়ে তাইওয়ানের পাবলিক অপিনিয়ন ফাউন্ডেশনের জরিপ বলছে, ৭৭ শতাংশ মানুষ পুরুষ ও নারীর মধ্যে বিয়ের বর্তমান ধারণাকেই সমর্থন করছেন।
এদিকে গণভোটের ফল যা-ই আসুক না কেন, আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে কিছুই করা হবে না বলে নিশ্চয়তা দিয়েছে দেশটির সরকার।
সমলিঙ্গের বিয়ের পক্ষে কাজ করে যাওয়া সংগঠনগুলোর ধারণা, গণভোটে বিপক্ষে রায় এলে নতুন আইনেও এর প্রভাব পড়বে। জনসমর্থনের কথা বিবেচনা করে সরকার তখন দুর্বল আইনের দিকেই ঝুঁকবে, ধারণা তাদের।
সমকামীরা জানায়“ভালোবাসা ও সমতা জিতবে বলেই আশা আমাদের। যদি বিপরীত কিছু হয়, তাহলেও সরকার নিশ্চয়ই এ ভোটের ফলকে ব্যবহার করে সমলিঙ্গের বিয়ে নিয়ে হওয়া আইনের সম্ভাবনায় জল ঢেলে দেবে না,” বলেছেন মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের পূর্ব এশিয়ার কর্মী সুকি চাং।আগামীকাল গণভোটের ফল জানা যাবে।









