আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী চূড়ান্ত করার পর মনোনীতদের হাতে প্রত্যায়নের চিঠি তুলে দিচ্ছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।
রোববার সকালে ঢাকার বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে এই চিঠি বিতরণ শুরু হয়। তবে ৩০০ আসনে কারা আওয়ামী লীগের প্রার্থী হচ্ছেন, কোন আসনগুলো জোট শরিকদের ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে সে বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা আসেনি।বিভিন্ন আসনে মনোনীতরা সকাল থেকে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে এসে দপ্তর সম্পাদক আব্দুস সোবাহান গোলাপের কাছ থেকে মনোনয়নের চিঠি সংগ্রহ করছেন। রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক সকালে কুমিল্লা-১১ আসনের এবং সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনী চাঁদপুর-৩ আসনে দলীয় মনোনয়নের চিঠি পান।
দলের উপ দপ্তর সম্পাদক সাংবাদিকদের বলেন, “সকাল সাড়ে ৯টা থেকে আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের কনফার্মেশন চিঠি দিচ্ছি।”
জোটগতভাবে নির্বাচনে আসন ভাগাভাগি নিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের শনিবার ১৪ দলীয় জোটের শরিক দল জাসদ ও ওয়ার্কার্স পার্টি এবং মহাজোটের শরিক জাতীয় পার্টির (জাপা) সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক করেন।বৈঠক শেষে বেরিয়ে যাওয়ার সময় জাতীয় পার্টির মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার সাংবাদিকদের প্রশ্নে বলেন, আসনের দাবিতে কম গুরুত্ব দিয়েই আওয়ামী লীগের সঙ্গে থাকতে চায় জাতীয় পার্টি।
বিএনপিবিহীন দশম সংসদ নির্বাচন এইচ এম এরশাদের দল জাতীয় পার্টি সমঝোতার ভিত্তিতে আলাদাভাবে অংশ নিলেও ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোট বেঁধেই অংশ নিয়েছিল।
২০০৮ সালে ২৭টি আসন জয়ী জাতীয় পার্টি এখন সংসদে আসন ৩৪টি। একাদশ সংসদ নির্বাচনে অন্তত ৪০টি আসন আওয়ামী লীগের কাছে জাতীয় পার্টি পেতে চায় বলে দলটির নেতাদের কথায় আভাস মিলেছিল।
অন্যদিকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলে আসছেন, সব মিলিয়ে শরিকদের ৬৫ থেকে ৭০টি আসন ছেড়ে দেওয়া হতে পারে।
৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় একাদশ সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ২৮ নভেম্বর; কার্যত তার আগেই জোট-মহাজোটগুলোর আসন ভাগাভাগি চূড়ান্ত করতে হবে।









