অসুস্থ আওয়ামী লীগ নেতা সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের আসনে তাকেসহ দুইজনকে নৌকার মনোনয়নের প্রত্যয়নপত্র দিয়েছে আওয়ামী লীগ।
তবে প্রতীক বরাদ্দের আগে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী মনোনয়নের চূড়ান্ত তালিকা নির্বাচন কমিশনে পাঠালে তাদের একজনকে বাদ পড়বেন।
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে ৩০ ডিসেম্বর। এর আগে ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত মনোনয়ন দাখিল করা যাবে। ২ ডিসেম্বর বাছাইয়ের পর প্রার্থিতা প্রত্যাহার করা যাবে ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জনপ্রশাসনমন্ত্রী আশরাফ ক্যান্সারের আক্রান্ত হয়ে বর্তমানে বিদেশে চিকিৎসাধীন। তার রাজনীতিতে ফেরার সম্ভাবনা খুব কম বলে সম্প্রতি তার ভাই শাফায়াতুল ইসলাম জানান। তিনি নিজেও এ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছিলেন।
সৈয়দ আশরাফের আসনে কেন দুজনকে রাখা হয়েছে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সদস্য আব্দুর রাজ্জাক বলেন, “আমরা সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকেই মনোনয়ন দিতে চাই। কিন্তু তার শারীরিক অবস্থার কথা বিবেচনায় নিয়ে দুজনকে রাখা হয়েছে।শেষ পর্যন্ত কাকে চূড়ান্ত মনোনয়ন দেওয়া হবে জানতে চাইলে কোনো মন্তব্য করতে চাননি সাবেক খাদ্যমন্ত্রী রাজ্জাক।
জাতীয় চার নেতা ১৯৭৫ সালে কারাগারে নিহত হওয়ার পর সৈয়দ নজরুল ইসলামের ছেলে আশরাফ যুক্তরাজ্যে চলে যান।দীর্ঘদিন পর দেশে ফিরে ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে কিশোরগঞ্জ-১ (সদর ও হোসেনপুর) আসন থেকে নির্বাচন করে তিনি সংসদ সদস্য হন। এরপর ২০০১, ২০০৮ ও ২০১৪ সালে পুনর্নির্বাচিত হন তিনি।
২০০৭ সালে জরুরি অবস্থা জারির পর শেখ হাসিনা কারাবন্দি হলে আওয়ামী লীগের যে কয়জন নেতা দলের হাল ধরেছিলেন, তাদের অন্যতম আশরাফ। পরে দলের সাধারণ সম্পাদকও হয়েছিলেন তিনি। দুই মেয়াদে দায়িত্ব পালনের পর এখন তিনি সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য।ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত ৬৮ বছর বয়সী আশরাফ এখন থাইল্যান্ডের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অসুস্থতার কারণে গত ১৮ সেপ্টেম্বর সংসদ থেকে ছুটিও নিয়েছেন তিনি।
মনোনয়নের চিঠি পাওয়া মশিউর রহমান হুমায়ূন ঢাকা মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। বর্তমানে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সহ-সম্পাদক পদে আছেন তিনি। চূড়ান্ত মনোনয়ন পেলে এটাই হবে তার প্রথম নির্বাচন।









