,শহরের উপকণ্ঠে উপজেলার ৩ নম্বর বাঙ্গালীপুর ইউনিয়নের চৌমুহনীবাজার। সড়ক ও জনপথ বিভাগের সৈয়দপুর-পাবর্তীপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের উভয় পাশে চৌমুহনীবাজারে সড়কের জায়গায় দখল করে অসংখ্য অবৈধ কাঁচা পাকা দোকানপাট গড়ে উঠেছে। সড়ক ও জনপথ বিভাগের জায়গায় গড়ে তোলা ওই সব অবৈধ স্থাপনার কারণে সড়কে যানবাহনে চলাচলে মারাত্মক বিঘ্নের সৃষ্টি হচ্ছিল। সড়কের জাগায় গড়ে ওঠা অবৈধ দোকানপাটগুলো সরিয়ে নেওয়ার জন্য নীলফামারী সড়ক ও জনপথ বিভাগ এবং জেলা প্রশাসন থেকে কয়েক দফা নোটিশ প্রদান করা হয়। কিন্তু সওজের জায়গায় গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নিতে বার বার উচ্ছেদ নোটিশ দেওয়ার পরও মালিকরা তাদের স্থাপনাগুলো সরিয়ে নেয়নি।
এ অবস্থায় অবৈধ দখলদারদের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করতে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। তার আগে গত ২ নভেম্বর রবিবার চৌমুহনীবাজারে সওজের সড়কের জায়গায় দখল করে গড়ে তোলা স্থাপনা সরিয়ে নিতে মাইকিংও করা হয়।
অভিযানকালে চৌমুহনীবাজারে সৈয়দপুর-পার্বতীপুর আঞ্চলিক সড়কের মধ্যবর্তী স্থান থেকে উভয় পাশে ৪০ ফুট পর্যন্ত সওজের জায়গায় গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনাগুলো একে একে একটি বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে সওজরে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হওয়া দেখে অনেক অবৈধ স্থাপনা মালিককে নিজেদের উদ্যোগে তাদের স্থাপনা সরিয়ে নিতে দেখা যায়। এই অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযানে নেতৃত্ব দেন সৈয়দপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পরিমল কুমার সরকার। এ অভিযানে নীলফামারী সড়ক ও জনপথ বিভাগে উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. শফিকুল ইসলাম মোল্লা, উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. নুর আলম এবং উপজেলা ভূমি অফিসের সার্ভেয়ারসহ অন্যনারা ও সৈয়দপুর থানার পুলিশ সদস্যরা সহযোগিতা দেন। উচ্ছেদ অভিযানে সড়ক ও জনপথ বিভাগের কর্মীরা মাথায় লাল ফিতা বেঁধে অংশ নেন।









