আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়ন না পাওয়া নেতাদের কর্মী সমর্থকরা টানা দ্বিতীয় দিনের মত রাজধানীর গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয় ঘিরে বিক্ষোভ করছে।
ওই ভবনের একজন নিরাপত্তাকর্মী জানান, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ নেতৃবৃন্দ শনিবার গভীর রাতে কার্যালয় থেকে গেছেন। সকালে আর কেউ আসেননি।
কার্যালয়ের সামনের ফটক আগলে বসে আছেন মুন্সীগঞ্জ-১ আসনে ধানের শীষের মনোনয়নপ্রত্যাশী মো. আবদুল্লাহর সমর্থকরা।
মাথায় সাদা কাপড়ের ব্যান্ড লাগিয়ে বিক্ষোভ করার পাশাপাশি গেইটে লাথি ও ধাক্কা মারতে দেখা যায় তাদের কাউকে কাউকে।ওই জটলা থেকে চিৎকার করে বলা হাচ্ছিল – ‘আমরা আবদুল্লাহ ভাইকে চাই, অন্য কাউকে মুন্সীগঞ্জ-১ আসনে মেনে নেব না। এ আসনে চূড়ান্ত প্রার্থী হিসেবে ধানের শীষ প্রতীক পেয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন।
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া ছাত্রদলের কর্মী হামিদ বলেন, “শাহ মোয়াজ্জেম নেতা। উনার বয়স হয়ে গেছে। এলাকায় যান না। তার সাথে কর্মীদের যোগাযোগ নেই। এই আসনে একজন সার্বক্ষণিক নেতাকে মনোনয়ন না দিলে আসন পাওয়া কঠিন হবে।”
এই আসনে জেএসডির সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতন জাতীয় ঐক্যজোটের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছেন।কার্যালয়ে আরেকটি ফটকের সামনে বসেছে কুমিল্লা-৪ আসনের মনোনয়নপ্রত্যাশী মনজুরুল আহসান মুন্সির সমর্থকরা।
বিক্ষোভকারী দলের কর্মী সোহরাব বলেন, “মুন্সিভাই আমাদের দলের নেতা, কুমিল্লা-৪ আসনে বিএনপির নেতা। তিনি চারবারের সংসদ সদস্য। তাকে বাদ দিয়ে যাকে দেওয়া হয়েছে তিনি কখনোই এলাকায় যান না। আমরা তাকে চিনি না, তাকে আমরা মানি না। অবৈধ নমিনেশন মানি না।”
এ দলের বিক্ষোভকারীদের অনেকের মাথায় সাদা কাপড় বাঁধা দেখা যায়।
বেলা ১১টার দিকে কার্যালয়ের ভেতরে থেকে মাইকে বলা হয়- ‘আজকে অফিস বন্ধ । এখানে জটলা করে কোনো লাভ নেই’।
এর আগে শনিবার বিকালে চাঁদপুর-১ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী আনহ এহছানুল হক মিলন, নারায়ণগঞ্জ-১ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য তৈমুর আলম খন্দকার, গোপালগঞ্জ-১ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী সেলিমুজ্জামানের কর্মী-সমর্থকরা খালেদা জিয়ার কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে।
তাদের ওই হামলার মধ্যে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও নজরুল ইসলাম খানসহ কয়েকজন জ্যেষ্ঠ নেতা ওই কার্যালয়ে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন।









