আজ থেকে শুরু হচ্ছে ভোটের জমজমাট লড়াই । মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের সময় শেষ হয়েছে গতকাল।
বিএনপি, জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও ২০-দলীয় জোট মিলিয়ে ২৯৮ জনের ধানের শীষ প্রতীক : বিএনপি, ২০-দলীয় জোট ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শরিক দলগুলোর প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করা হয়েছে। ৩০০ আসনের মধ্যে বিএনপির নিজস্ব প্রার্থী ২৪১টি আসনে ধানের শীষ প্রতীকে লড়বেন। ঐক্যফ্রন্ট ১৯টি আর বাকি ৪০টি আসনে ২০-দলীয় জোটের শরিকরা ধানের শীষ প্রতীকে লড়বেন। এ ছাড়া দুই আসনের একটিতে এলডিপির চেয়ারম্যান কর্নেল অলি আহমদ দলীয় প্রতীক ছাতা এবং কক্সবাজার-২ আসনে জামায়াত নেতা হামিদুর রহমান আজাদ স্বতন্ত্রভাবে লড়বেন। এখানে ধানের শীষের কোনো প্রার্থী থাকবে না। গতকাল বিএনপির পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনকে ২৯৮ জনকে ধানের শীষ প্রতীক বরাদ্দ দিতে বলা হয়েছে।
দুই জোটের মধ্যে বৃহৎ শরিক জামায়াতে ইসলামী পেয়েছে ২২টি আসন। জোটের অন্য শরিকদের মধ্যে এলডিপি ৫টি, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম দুই গ্রুপে ৪টি, খেলাফত মজলিস ২টি, জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর ২টি), কল্যাণ পার্টি ১টি, বিজেপি ১টি, লেবার পার্টি ১টি, এনপিপি ১টি এবং পিপিবি ১টি আসনে ধানের শীষ প্রতীকে লড়বে। এ ছাড়া জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শরিক দলগুলোর মধ্যে গণফোরাম ৭টি, নাগরিক ঐক্য ৪টি, জেএসডি ৪টি এবং কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ ৪টি আসনে ধানের শীষ প্রতীকে লড়বে।
জাতী পার্টি ১৭৩ জনের তালিকা নির্বাচন কমিশনে জমা দিয়েছে। দলটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ২৯ আসনে মহাজোটের সঙ্গে ভোট করবে তারা। বাকি আসনগুলো ‘উন্মুক্ত’ বিবেচনায় তাদের প্রার্থীরা ভোটের লড়াইয়ে থাকছেন।
ইসি কর্মকর্তারা জানান, নির্বাচন কমিশনের কাছে প্রার্থীর পরিচয় প্রতীক দিয়ে। যে প্রতীকে ভোট করবেন, তিনি সংশ্লিষ্ট দলের। সে হিসাবে নৌকার প্রার্থী ২৭২ জন। বাকি ২৮টি আসনে জোটগতভাবে ভোট করতে হবে আওয়ামী লীগকে।
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল—জাসদের তিনজন নৌকায় ভোট করছেন। পাশাপাশি মশাল প্রতীকে ভোট করছেন চারজন। বাকি বৈধ ৩৭ প্রার্থী রবিবার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। গতকাল জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু স্বাক্ষরিত তিনটি পত্র নির্বাচন কমিশন সচিব বরাবর দেওয়া হয়। জাসদের এ-সংক্রান্ত চিঠি কমিশনে পৌঁছে দেন সহ-দফতর সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন। চিঠিতে বলা হয়, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১৪-দলীয় জোটের শরিক হিসেবে নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করছে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল—জাসদের তিনজন। কুষ্টিয়া-২ আসনে হাসানুল হক ইনু, ফেনী-১ আসনে শিরিন আখতার ও বগুড়া-৪ আসনে এ কে এম রেজাউল করিম তানসেনকে নৌকা প্রতীক দিতে বলা হয়েছে। জাসদের প্রতীক মশালে ভোট করবেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ আসনে শাহ জিকরুল আহমেদ, গাইবান্ধা-৩ আসন থেকে এস এম খাদিমুল ইসলাম খুদি, রংপুর-২ আসন থেকে কুমারেশ চন্দ্র রায় এবং বরিশাল-৬ আসন থেকে মো. মোহসিন। ৪৪ জনের মনোনয়নপত্র বৈধ হলেও আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন জোটের শরিক হিসেবে জাসদ ৩৭টি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছে।
বাসদের সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান স্বাক্ষরিত ৪৫ আসনে একক প্রার্থিতার তালিকা নির্বাচন কমিশনে দেওয়া হয়েছে। ৩০০ আসনের মধ্যে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি ৭৪ আসন এবং বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি ২৮টি আসনে ভোট করছে।
সংসদ নির্বাচনে এককভাবে ২৯৮ আসনে লড়বে চরমোনাই পীরের দল ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। দলটি ৩০০ আসনে প্রার্থী দিলেও রিটার্নিং অফিসারদের যাচাই-বাছাইয়ে ১৯ জনের প্রার্থিতা বাতিল হয়। পরে নির্বাচন কমিশনে আপিল করে ১৬ জন বৈধতা পেয়েছেন। এ ছাড়া লক্ষ্মীপুর-৪ আসনে মো. শরীফুল ইসলামকে বিকল্প প্রার্থী হিসেবে দলীয় প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়। ফলে ইসলামী আন্দোলনের বৈধ প্রার্থীর সংখ্যা দাঁড়াল ২৯৮ জনে।









