নিউজিল্যান্ডে মসজিদে বন্ধুকধারীর হামলায় অন্তত ৪০ জন নিহতের ঘটনা ঘটেছে। নিহতদের মধ্যে ২ জন বাংলাদেশী রয়েছে বলে জানা গেছে। নিউ জিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের আল নূর মসজিদে জুমার নামাজের সময় গোলাগুলির ঘটনায় অল্পের জন্য বেঁচে গেছেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের কয়েকজন খেলোয়াড়।
শুক্রবার দুপুরে গোলাগুলির ওই ঘটনার পর বাংলাদেশ নিউজিল্যান্ড তৃতীয় টেস্টটি বাতিল করা হয়েছে। শনিবার ক্রাইস্টচার্চের হ্যাগলি ওভালে ওই ম্যাচ শুরু হওয়ার কথা ছিল।
খালেদ মাসুদ জানান, ম্যাচের আগে শুক্রবার সকালে ওই মাঠে অনুশীলন করেন বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড়রা। সেখান থেকে তাদের কয়েকজন কাছের ওই মসজিদে গিয়েছিলেন জুমার নামাজ পড়ত।
“তবে কোনো বিপদ হয়নি। সবাই নিরাপদে ফিরে এসেছে।”
নিউজিল্যান্ডের সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হচ্ছে, হ্যাগলি পার্কের পাশে ডিনস এভিনিউয়ের ওই মসজিদে শুক্রবার জুমার নামাজ পড়তে এসেছিলেন কয়েকশ মুসলমান।
মিলিটারি ধাঁচের ক্যামোফ্লাজড পোশাক পরিহিত এক ব্যক্তি অটোমেটিক রাইফেল হাতে ওই মসজিদে ঢোকে এবং প্রায় ২০ মিনিট ধরে গুলি চালায় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা বিবিসিকে বলেছেন।
কাছাকাছি সময়ে ক্রাইস্টচার্চের আরেকটি মসজিদে হামলার ঘটনা ঘটে। স্থানীয় পুলিশ ‘বেশ কয়েকজন’ হতাহতের খবর দিলেও নিউ জিল্যান্ড হেরাল্ডের প্রতিবেদনে নিহতের সংখ্যা অন্তত ৪০ বলে জানানো হয়েছে।
নিউ জিল্যান্ড হেরাল্ডের খবরে বলা হয়েছে, আল নূরে যখন গোলাগুলি শুরু হয়, তার পরপরই মসজিদে পৌঁছেছিলেন বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটাররা। তারা দ্রুত সেখান থেকে সরে যান।









