নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরের সুরকি মিল (ভাগাড়) সংলগ্ন এলাকায় অবস্থিত মদভাটিতে বুধবার এক অভিযান পরিচালনা করা হয়। সৈয়দপুর উপজেলা প্রশাসনের ওই অভিযানে মদভাটি থেকে ২৪ মদ্যপায়ীকে আটক করা হয়েছে। যাদের ভাটিতে মদ পানের কোন কার্ড নেই। সন্ধ্যায় আটককৃতদের প্রত্যেককে একমাসের করে বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করে ভ্রাম্যমান আদালত।
থানা সুত্রে জানা যায়, সৈয়দপুর শহরের উল্লিখিত এলাকায় একটি অনুমোদনপ্রাপ্ত মদভাটি রয়েছে। ইজারাদার কর্তৃক এটি পরিচালিত হয়। মদভাটি সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকার কথা। সেখান থেকে কেবলমাত্র কার্ডধারী মদ্যপায়ী তথা হরিজন (সুইপার) সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে মদ সরবরাহ করার নিয়ম রয়েছে। কিন্তু দীর্ঘদিন যাবৎ সৈয়দপুর শহরের অনুমোদনকৃত মদভাটির ইজারাদার সরকারি নিয়মনীতি উপেক্ষা করে মদভাটি পরিচালনা করছিল। দিন রাত মিলে ২০ ঘন্টারও বেশি সময় ওই মদভাটি খোলা থাকে। আর মদভাটিটি থেকে কার্ডধারী মদ্যপায়ীর বাইরেও শহরের বিভিন্ন শ্রেণী পেশার নানা বয়সী মানুষ অবাধে বাংলা মদ সংগ্রহ করে। এসব নানা অভিযোগের ভিত্তিতে গতকাল বুধবার বিকেলে সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) এস. এম. গোলাম কিবরিয়া নেতৃত্বে মদভাটিতে আকস্মিক এক অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় সেখান থেকে ২৪ জন মদ্যপায়ীকে আটক করা হয়। যাদের মদ পানের কোন কার্ড নেই। তারা মূলতঃ শহর ও গ্রামাঞ্চলের বিভিন্ন শ্রেণী ও পেশার খেটে খাওয়া মানুষ। পরে ভ্রাম্যমান আদালতে আটককৃতদের প্রত্যেককে এক মাসের করে বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে। ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন বিচারক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার( ইউএনও) এস. এম. গোলাম কিবরিয়া এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারি কমিশনার (ভূমি) পরিমল কুমার সরকার। পরে দন্ডপ্রাপ্তদের নীলফামারী কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এ অভিযানে সৈয়দপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অশোক কুমার পাল, সৈয়দপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শাহজাহান পাশা ও অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) মো. আতাউর রহমান,উপপরিদর্শক মো. আরমান হোসেনসহ বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য অংশ নেন।









