আজ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। ১৯৭১ সালের এ দিন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীর দমন অভিযানের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়ে স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল বাঙালি জাতি।
স্বাধীনতার ৪৮তম বার্ষিকীতে জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে জাতির বীর সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিন বাহিনীর একটি সুসজ্জিত দল এ সময় রাষ্ট্রীয় সালাম জানায়, বিউগলে বাজানো হয় করুণ সুর। শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।
মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, বিচারপতি, তিন বাহিনীর প্রধানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী স্মৃতিসৌধ ত্যাগ করার পর মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, বিদেশি কূটনীতিক, বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের জনগণের শ্রদ্ধা নিবেদন পর্ব শুরু হয়।
স্বাধীনতা দিবসে সূর্য ওঠার সঙ্গে সঙ্গে সাধারণ মানুষ ভিড় জমাতে শুরু করে জাতীয় স্মৃতিসৌধের সামনে। বেলা বাড়ার সঙ্গে বাড়তে থাকে সেই ভিড়।
সাভার থেকে প্রধানমন্ত্রী যান ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কে। সেখানে তিনি বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
মঙ্গলবার ভোরে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে ঢাকায় দিবসের আনুষ্ঠানিক সূচনা হয়। শ্রদ্ধা নিবেদনের পর্ব শেষে প্রধানমন্ত্রী পৌঁছান বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে শিশু-কিশোর সমাবেশে।
সেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে এবং একই সময় সারাদেশে একযোগে জাতীয় সংগীত গাওয়া হয়।বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের এই শিশু-কিশোর সমাবেশে ১০-১৮ মার্চ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত শুদ্ধসুরে জাতীয় সংগীত প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের পুরস্কৃত করা হবে। সেই সঙ্গে স্বাধীনতা দিবসের কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করবেন সরকারপ্রধান।









