জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে জনমত তৈরী ও কার্যকর ব্যবস্হা গ্রহনের আহবান জানিয়েছেন। ব্রুনেই সফরের অভিজ্ঞতা জানাতে সংবাদ সম্মেলনে এসে শুরুতেই শ্রীলঙ্কায় ভয়াবহ আত্মঘাতী বোমা হামলার নিন্দা জানিয়ে নিহতদের প্রতি শোক প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওই আহবান জানান।
শুক্রবার বিকাল ৪টায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে এই সংবাদ সম্মেলন শুরু হয়। মন্ত্রিসভার সদস্যদের পাশাপাশি আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতারাও সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম বাংলাদেশ টেলিভিশন সরকাপ্রধানের এই সংবাদ সম্মেলন সরাসরি সম্প্রচার করে।
সুলতান হাজি হাসানাল বলকিয়ার আমন্ত্রণে তিন দিনের সরকারি সফরে গত রোববার ব্রুনেই যান শেখ হাসিনা। সেদিন ছিল খ্রিস্টানদের পবিত্র দিন ইস্টার সানডে।
সেই সকালেই শ্রীলঙ্কায় তিনটি গির্জা আর চারটি পাঁচতারা হোটেলে একযোগে আত্মঘাতী বোমা হামলা হয়। ওই ঘটনায় তার বাবা মশিউল হক চৌধুরী প্রিন্সও আহত হন।
ভয়াবহ ওই হামলায় নিহত হয় ২৫৩ জন, যাদের মধ্যে আওয়ামী লীগ নেতা সংসদ সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিমের নাতি জায়ান চৌধুরীও রয়েছে।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সাংসদ শেখ সেলিম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফুপাতো ভাই। সেলিমের মেয়ে শেখ আমেনা সুলতানা সোনিয়া তার স্বামী প্রিন্স ও দুই ছেলেকে নিয়ে শ্রীলঙ্কায় গিয়েছিলেন বেড়াতে।
সংবাদ সম্মেলনের শুরুতেই শ্রীলঙ্কা হামলায় নিহতদের কথা এবং জায়ানের কথা স্মরণ করেন প্রধানমন্ত্রী।তিনি নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন।
তিনি বলেন, ব্রনেই সফরে থাকা অবস্থায় তিনি প্রথমে হামলার খবর পান। পরে পান জায়ানের মৃত্যুর খবর।
“খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আমি এই নৃশংস হামলার নিন্দা জানিয়ে শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রীকে শোকবার্তা পাঠাই। এই কাপুরুষোচিত হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে জনমত সৃষ্টি ও কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।”









