নীলফামারীর সৈয়দপুরে হত্যা চেষ্টা মামলার আসামীকে নিয়ে অসৎ উদ্দেশ্য গোপনে শলা-পরামর্শে লিপ্ত হওয়া,আসামী গ্রেফতারে বাধা,পলায়নে সহায়তা করা সহ পুলিশের সাথে অসৌজন্যমুলক আচরন করার অভিযোগে হিটলার চৌধুরী ভলুসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে সৈয়দপুর থানায় মামলা হয়েছে। হিটলার চৌধুরী ভুলু সৈয়দপুর পৌর আওয়ামীলীগের ২নং ওয়ার্ড কমিটির সভাপতি ও সাবেক পৌর কাউন্সিলর ও সাবেক প্যনেল মেয়র।
সৈয়দপুর থানার উপ-পরিদর্শক আবু বক্কর সিদ্দিক বাদী হয়ে নয়জনের নাম উল্লেখপূর্বক এবং ছয়জনকে অজ্ঞাতনামা দেখিয়ে রোববার রাতে ওই মামলাটি দায়ের করেন। মামলার অন্যান্য আসামীরা হলেন মো. ইয়াকুব (৪২), মো. কাজল (৩০), মো. বাবু (৩৫), শমসের আলী ওরফে শেরু (৪৫), মো. ইব্রাহিম (৪০). মো. আরমান (৩৭), ফাতেমা বেগম (৬৫) ও মো. সোহাগ সরকার। আর অজ্ঞাতনামা রয়েছে ছয়জন।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, গত ৫ অক্টোবর বিকালে গৃহবধূ মোছা. সুরভী ইসলাম পপিকে হত্যা চেষ্টা মামলায় পলাতক আসামী মো. রাজা (১৯) ও মো. জীবনকে (২১) নিয়ে শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কের লাল্লু ড্রাইভারের বাসায় মামলার বাদী হিটলার চৌধুরী ভলুসহ তার অন্যান্য সহযোগীদের নিয়ে শলাপরামর্শ করছিল। আর এ খবর পেয়ে থানা পুলিশ উল্লিখিত স্থানে পৌছার পূর্বে প্রধান আসামী হিটলার চৌধুরী ভলু ও সহযোগীরা আসামীদের নিয়ে স্থান ত্যাগ করে। এরপর তারা আসামীদের নিয়ে মামলার বাদী হিটলার চৌধুরীর শহরের গোলাহাটের ঘোড়াঘাটস্থ এলাকার বাড়িতে নিয়ে যায়।
এরপর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সৈয়দপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আবু বক্কর সিদ্দিক সঙ্গীয় ফোর্সসহ বাদী হিটলার চৌধুরী ভলুর বাসায় যান। এ সময় মামলার বাদী হিটলার চৌধুরী ভলুকে দুই আসামীকে পুলিশের হাতে সোপর্দ করতে বলেন পুলিশ। কিন্তু বাদী কোনক্রমেই আসামীদের পুলিশের হাতে সোপর্দ করতে রাজি হচ্ছিল না। পরে আসামী উদ্ধারে থানা থেকে আরো পুলিশ সদস্যরা সেখানে আসেন ।
কিন্তু এ সময় বাদী হিটলার চৌধুরী ভলু আসামী পুলিশের হাতে সোপর্দ না করে উল্টো পুলিশের সঙ্গে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে তাদের ওপর চড়াও হয়।এরই ফাঁকে মামলার বাদী ভলু দুই আসামীদের নিয়ে পালিয়ে যান। এ ঘটনার পরদিন গত ৬ অক্টোবর নয়জনের নাম উল্লেখ করে ছয়জন অজ্ঞাতনামা আসামীসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করা হয়। মামলায় বেআইনী জনতার সমাবেশ, মারপিট ও সরকারি কাজে বাঁধা দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।
সৈয়দপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শাহ্জাহান পাশা মামলা দায়ের করার বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,আসামী হিটলার চৌধুরী ভুলু অসৎ উদ্দেশ্য হত্যা চেষ্টা মামলার আসামীকে পুলিশে সোপর্দ না করে গোপনে শলা-পরামশে লিপ্ত ছিল এবং আসামীকে পুলিশের হাতে তুলে না দিয়ে,পুলিশের সাথে অসৌজন্যমুলক আচরন করে আসামীদের পালিয়ে যেতে সাহায্য করে।
এক প্রশ্নের জবাবে ওসি শাহজাহান পাশা বলেন,বাদী হিটলার চৌধুরী ভুলু কোন কিছু আড়াল করতে বা কোন ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে সাংবাদিক সম্মেলন করে আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ করছে। তিনি ভুলু চৌধুরীর করা সকল অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট বলে সাংবাদিকদের জানান ।
উল্লেখ্য যে, ভিকটিম সুরভী আকতার পপি হিটলার চৌধুরী ভুলুর ২য় স্ত্রী। স্হানীয় একটি সুত্র দাবী করে বলেন,এ মামলার সুষ্ঠু তদন্ত হলে অনেক অজানা তথ্য বেরিয়ে আসবে।
এ দিকে পৌর আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রফিকুল ইসলাম বাবু তার ফেসবুক আইডিতে হিটলার চৌধুরী ভুলুকে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারনে বহিষ্কার করা হয়েছে, উল্লেখ করে তার পারিবারিক বা ব্যক্তিগত অপরাধের দায় দল বহন করবে না বলে একটি স্ট্যাটাস প্রকাশ করেন। যা মহুর্তে ভাইরাল হয়ে যায়।
ওই পোষ্টের সাথে তিনি বহিঃস্কার এর রেজুলেশন কপিও পোষ্ট করেন। রফিকুল ইসলাম বাবুর ওই স্ট্যাটাস পরে তার টাইম লাইন থেকে গায়েব হয়ে যায়।কিন্তু গায়েব হওয়ার পুর্বেই ওই স্ট্যাটাস ভাইরাল হয়ে যায় । দলীয় একটি সুত্র থেকে জানা গেছে,হিটলার চৌধুরী ভুলুর বহিঃষ্কারাদেশ অনুমোদনের জন্য নীলফামারী জেলা কমিটির মাধ্যমে কেন্দ্রীয় কমিটির নিকট প্রেরন করা হয়েছে ।









