প্রাণঘাতী মহামারী নভেল করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে জনসমাগম এড়াতে এবার বাংলা নববর্ষ বরণের অনুষ্ঠান বন্ধ থাকায় ভোরবেলায় ঘরবন্দি মানুষের চোখ ছিল টেলিভিশনের পর্দায়।
চিরায়ত নিয়মে এবার ঢাকার রমনা বটমূলে গাওয়া হয়নি সম্মিলিত কণ্ঠে বৈশাখের আবাহনী গান; ছিল না বর্ষবরণের অপরিহার্য অংশ হয়ে উঠা বর্ণিল মঙ্গল শোভাযাত্রাও।
তবে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টায় সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে ‘এসো হে বৈশাখ এসো এসো’ শিরোনামে একটি অনুষ্ঠান সরকারি-বেসরকারি সব টেলিভিশনে প্রচার করা হয়।
রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্মরণ করে এ অনুষ্ঠান শুরু করা হয়। আয়োজনের শুরুতেই ‘এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে নাকো তুমি’ পরিবেশন করা হয়। এরপর নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে বাণী দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা; সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।পরে রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা একে একে কণ্ঠে তোলেন রবীন্দ্র সংগীত ‘তুমি, নির্মল কর, মঙ্গল করে মলিন মর্ম মুছায়ে’; নজরুল সংগীত ‘মৃত্যু নাই- নাই দুঃখ, আছে শুধু প্রাণ’ পরিবেশন করেন ইয়াসমিন মুশতারি এবং সৈয়দ শামসুল হকের কবিতা ‘আমার পরিচয়’ আবৃত্তি করেন আসাদুজ্জামান নূর।
সাদী মোহাম্মদের কণ্ঠে ‘সকাতরে ওই কাঁদিছে সকলে’; সামিনা চৌধুরীর কণ্ঠে ‘আজি নূতন রতনে ভূষণে যতনে’; শফি মণ্ডলের ‘আগে কী সুন্দর দিন কাটাইতাম’ উপভোগ করেন দর্শকরা।

ডা. নুজাহাত চৌধুরী ও রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যার উপস্থাপনায় সম্প্রচারিত অনুষ্ঠানটি পুনঃপ্রচার করা হবে।এছাড়া পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে এটিএন বাংলায় রাত ৮টায় বিশেষ ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘পাঁচফোড়ন’, রাত ১১টায় আলেখ্যানুষ্ঠান ‘রঙে ভরা বৈশাখ’ প্রচার হবে। বৈশাখ নিয়ে বৃন্দাবন দাশের লেখা নাটক ‘হালখাতা’ প্রচার প্রচার হবে রাত ৯টায়।
এনটিভিতে দুপুর দেড়টায় প্রচার হবে বিশেষ প্রামাণ্যচিত্র ‘ঐহিহ্যের বাংলা বাংলার ঐতিহ্য’।









