“স্বাধীনতার রুপকার”
-ফয়েজ আহমেদ।
বাংলাদেশ একদিন স্বাধীন ছিলনা। ছিল পরাধীন। নাম ছিল পুর্ব পাকিস্থান। ইংরেজ শাসনের অবসানের পর ১৯৪৭ সালে ধর্মের ভিত্তিতে দু’টি রাষ্ট্রের জন্ম হয়। একটি ভারত ও অপরটি পাকিস্থান। পাকিস্থান নামক রাষ্ট্রের দু’টি অংশ পশ্চিম পাকিস্থান ও পুর্ব পাকিস্থান। আমরা পুর্ব পাকিস্থান হয়ে যাই,পশ্চিম পাকিস্থানের একটি অংশ।
পুর্ব পাকিস্থান অংশের জনসাধারন পশ্চিম পাকিস্থানী শাসক গোষ্ঠীর দ্বারা শোষিত ও বঞ্চিত হতে থাকে। শাসনের নামে পশ্চিম পাকিস্থানী শাসক গোষ্ঠী পুর্ব পাকিস্থানের বাঙ্গালী জনসাধারনদের কে শোষন ও নির্যাতন করতে থাকে। একই রাষ্ট্র হওয়ার পরেও পুর্ব বাংলার জনসাধারনের সাথে তারা বিমাতা সুলভ আচরন করতে থাকে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পশ্চিম পাকিস্থানী শাষকদের সেই বিমাতা সুলভ আচরন,শাসনের নামে শোষন-নির্যাতন রুখে দিয়ে বাংলাদেশ নামক স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্ম দেন।
পশ্চিম পাকিস্থানী শাসক গোষ্ঠী পুর্ব বাংলার জনসাধারনকে তাদের দাসত্বে আবদ্ধ করার জন্য নানাবিদ ষড়যন্ত্র করতে থাকে। তারা বাংঙ্গালীদের গোলামের জাতিতে পরিনত করে রাখতে চায়। তাই তারা পুর্ব বাংলার আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থায় আঘাত হানে।
পশ্চিম পাকিস্থানী শাসকচক্র জানত যে কোন জাতিকে পরাধীনতার শৃঙ্খলে আবদ্ধ করে রাখতে হলে,গোলামের জাতিতে পরিনত করতে হলে তাদের শিক্ষা ও সংস্কৃতিতে আঘাত হানতে হবে। তাই তারা প্রথমে আমাদের মাতৃভাষা কেড়ে নিতে চাইল।১৯৫২ সালে আঘাত হানল আমাদের মায়ের ভাষায়।
পশ্চিমা শাসক গোষ্ঠি ঘোষনা করল পাকিস্থানের রাষ্ট্র ভাষা হবে উদূ। বিক্ষোভে ফেটে পড়ল পুর্ব বাংলার আবাল বৃদ্ধ বনিতাসহ সর্বস্থরের জনসাধারন। বাংলার দামাল ছেলেরা রাস্তায় প্রতিবাদের ঝড় তুললো। পুর্ব বাংলার ছাত্র-শিক্ষক এক হয়ে পশ্চিমা শাসকদের এ ঘোষনা প্রত্যাহারের জন্য আল্টিমেটাম দিল।
কিন্তু পশ্চিমা শাসক গোষ্ঠি তাদের সিদ্ধান্তে অনড়। তারা আবার ঘোষনা করল,বাংলা নয়,উদূই হবে পাকিস্থানের রাষ্ট্র ভাষা। পুর্ব বাংলায় প্রতিবাদের ঝড় উঠল। কোন ভাবেই উদূকে রাষ্ট্র ভাষা হিসেবে মানবেনা তারা। শুরু হল তুমুল প্রতিবাদ মিছিল। ঢাকাসহ গোটা পুর্ব বাংলায় ছাত্র জনতার এ প্রতিবাদ আন্দোলন স্বাধীকার আন্দোলনে রুপ নিচ্ছল।
এবার ভীত হয়ে পড়ে পাকিস্থানী শাসকচক্র। তারা পুর্ব বাংলার ছাত্র জনতার এ প্রতিবাদ আন্দোলন চিরতরে বিনষ্ট করার জন্য মিছিলে হামলা করার নির্দেশ দেন। ১৯৫২ সালের ২১ শে ফেব্রুয়ারী পশ্চিমা পেটোয়া বাহিনী পুলিশ ছাত্রদের শান্তিপুর্ন মিছিলে এলোপাতারী গুলি ছোরা শুরু করে। পুলিশের গুলিতে নিহত হন,রফিক,জব্বার,ছালাম,সফিউরসহ আরো নাম জানা অনেকে। আন্দোলন আরো বেগবান হতে থাকে। পশ্চিমা শাসকচক্র পুর্ব বাংলার ছাত্র জনতার সম্মিলিত আন্দোলনে ‘রাষ্ট্র ভাষা’র” প্রশ্নে নমনীয় হয়।তারা পরে বাংলা ভাষার দাবী মেনে নিতে বাধ্য হন।
ভাষার প্রশ্নে নমনীয় পাকিস্থানী শাসকচক্র এবার আরো বেপরোয়া ভাবে পুর্ব বাংলার জনসাধারনের উপর শোষন অত্যাচার বহুগুন বাড়িয়ে দেয়।তারা পুর্ব বাংলার অর্থনীতি ধ্বংশ করতে নানাবিধ ষড়যন্ত্র করতে থাকে। পুর্ব বাংলার অর্থনীতি ধ্বংশ করতে তারা চালায় নারকীয় রাজনীতি।
পুর্ব বাংলার জনসাধারনের উপর পশ্চিমা শাষক গোষ্ঠির নারকীয় ষড়যন্ত্র নস্যাত করতে ১৯৬৬ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পুর্ব বাংলার জনগনের মুক্তির জন্য ছয়দফা কর্মসুচী ঘোষনা করেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছয় দফা বাঙ্গালীর মেঘনা কাটায় পরিনত হয়।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছয় দফার পক্ষে ব্যাপক জনসমর্থন গড়ার জন্য নিজেই গোটা দেশে সফর করেন। পুর্ব বাংলায় ছয় দফা বাস্তবায়নের জন্য বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বিশাল গন আন্দোলন গড়ে ওঠে।
ছয়দফা আন্দোলন পুর্ব বাংলার স্বাধীকার আন্দোলনে রপ নেয়। পশ্চিমা শাসকচক্র এবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে রাজনীতি থেকে চিরতরে বিদায় দেয়ার জন্য নতুন ষড়যন্ত্র শুরু করে। রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে আগরতলা মামলা রুজ্জু করেন এবং ১৯৬৯ সালে বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করেন। ফুসে ওঠে ছাত্রসমাজ। তারা বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের প্রদত্ত ছয় দফাসহ নিজেদের ১১ দফা মোট ১৭ দফা নিয়ে উত্তাল আন্দোলনে ঝাপিয়ে পড়েন।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে পশ্চিমা শাসকচক্র আগরতলা মামলা প্রত্যাহার করে বঙ্গবন্বু শেখ মুজিবুর রহমানকে মুক্তি দিতে বাধ্য হন। বঙ্গবন্ধু জেল থেকে মুক্তির পর ছাত্র-জনতাকে নিয়ে আন্দোলন সংগ্রাম অব্যাহত ভাবে চালিয়ে যেতে থাকেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আন্দোলনে নতজানু পশ্চিমা শাসকচক্র পাকিস্থানের সাধারন নির্বাচনের ঘোষনা দেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নির্বাচনের প্রস্ততি গ্রহন করেন। পুর্ব পাকিস্থানের ১৬৭ টি আসনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আওয়ামী লীগ বিপুল ভোটে বিজয়ী হন। অপরদিকে পশ্চিমা শাসক চক্রের সমর্থিত পিপলস পার্টি পশ্চিম পাকিস্থানে ৮৮ টি আসনে জয়লাভ করে।
এ নির্বাচনে আঞ্চলিকতা ব্যাপক প্রাধ্যন্য পায়। আওয়ামী লীগ পশ্চিম পাকিস্থানে এবং পিপলস পার্টি পুর্ব পাকিস্থানে একটি আসনেও জয়লাভ করতে পারেনি। পুর্ব ও পশ্চিম পাকিস্থানের জনগোষ্ঠির আঞ্চলিকতার টান এ নির্বাচনে ব্যাপকভাবে পরিলক্ষিত হয়। পরিষ্কার হয়ে যায় এ দুই অঞ্চলের জনসাধারনের দৃষ্টি ভঙ্গি।
পশ্চিমা শাসক চক্র আওয়ামী লীগ তথা বঙ্গবন্ধুর হাতে পাকিস্থানের শাসন ভার তুলে দিতে গড়িমসি শুরু করে। তারা নতুন ষড়যন্ত্র শুরু করে। অনিদিষ্ট কালের জন্য জাতীয় অধিবেশন বন্ধ ঘোষনা করেন। পুর্ব বাংলার মানুষ আবার ফুসে ওঠে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ পুর্ব বাংলার জনসাধারন বুঝতে পারে তারা আওয়ামী লীগ তথা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে ক্ষমতা অর্পন করবেন না। তাই এবার স্বাধীকার আন্দোলনের প্রস্তুতি গ্রহন করে আওয়ামী লীগ তথা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতিয় অধিবেশন বন্ধ ঘোষনার প্রতিবাদে ঢাকার সোওয়ারদী উদ্যনে সমাবেশের ডাক দেন। ওই সমাবেশে লক্ষ লক্ষ জনতার উপস্থিতিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এক ঐতিহাসিক ভাষন প্রদান করেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ওই দিন পশ্চিমা শাসক চক্রদের উদ্দেশ্য চাঁরটি দফা ঘোষনা করেন। যার মধ্য উল্লেখযোগ্য ছিল নির্বাচিত জনপ্রতিনধির হাতে শাসন ভার অর্পন করতে হবে। ২রা মার্চ থেকে সমস্ত গুলি বর্ষনের তদন্ত করে বিচার করতে হবে। সমস্ত সামরিক সদস্যদের ব্যারাকে ফিরিয়ে নিতে হবে।
বঙ্গবন্ধু সেদিন তার ভাষনে আরও বলেন,এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম। এবারের সংগ্রাম আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম। বঙ্গবন্ধু জানতেন,তাকে গ্রেফতার করা হতে পারে। তাই তিনি ওই ভাষনে আরও বলেন,আমি যদি হুকুম দিতে নাও পারি তোমরা তোমাদের যা কিছু আছে তা দিয়ে শত্রুর মোকাবেলা করবে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৭ই মার্চের ভাষনে আরও বলেছিলেন,তোমরা ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোল। রক্ত যখন দিয়েছি রক্ত আরও দেব তবুও এ দেশকে স্বাধীন করে ছাড়ব,ইনশাআল্লাহ।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ওই ভাষন উপস্থিত লক্ষ লক্ষ জনতা মুহুমুহু করতালিতে বরন করে নেন। বঙ্গবন্ধু সেদিন জনতাকে আরও বলেন,আজ থেকে খাজনা ট্যাক্স সব বন্ধ। পুর্ব বাংলা থেকে একটি টাকাও পশ্চিম পাকিস্থানে যাবেনা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সেদিনই বাংলাদেশ রাষ্ট্রের গোড়াপত্তন করে দেন। পরর্তীতে বঙ্গবন্ধুর সেই ৭ই মার্চের ভাষন ইউনেস্কো কতৃক শ্রেষ্ঠ ভাষন হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে।
৭ই মার্চ থেকে পুর্ব বাংলায় পাকিস্থানী শাসন কার্যত অচল হয়ে পড়ে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশনা কার্যকর করে পুর্ব বাংলার আপামর জনসাধারন। বাংলার স্বাধীনতা কার্যত সেদিন থেকে কার্যকর শুরু হয়। পুর্ব বাংলায় পশ্চিমা শাসন অপসারিত হওয়ায় এবং বঙ্গবন্ধুর মৌখিক নির্দেশনায় পুর্ব বাংলা পরিচালিত হওয়ায় ভীত হয়ে পড়ে পশ্চিমা শাসকচক্র।তারা এবার নতুন ষড়যন্ত্র শুরু করেন।বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে আপোষের জন্য আলোচনার প্রস্তাব দেন।
১০ মার্চ ঢাকায় আলোচনা শুরু হয়। আলোচনার নামে চলে প্রহসন। সময় কাটানোর ফন্দি ফিকির। এক দিকে চলে আলোচনা অন্য দিকে পশ্চিমারা দেশে তাদের শক্তি বৃদ্ধি শুরু করে। গোপনে সৈন্য,অস্ত্র আর গোলা-বারুদ নিয়ে আসে পুর্ব বাংলায়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও পুর্ব বাংলার জনসাধারনকে উচিত শিক্ষা দেয়ার জন্য। সৈন্য,অস্ত্র,গোলা-বারুদ আসা শেষ হলে ২৪ মার্চ গোপনে ঢাকা ত্যাগ করেন।
২৫ মার্চ মধ্যে রাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়। নিয়ে যাওয়া হয় করাচিতে। এদিকে পুর্ব বাংলার মানুষকে উচিত শিক্ষা দিতে রাতের কালো আধারে ঘুমন্ত মানুষের উপর শুরু করা হয় র্নিবিচারে গুলি বর্ষন। সে রাতে হাজার হাজার মানুষকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গ্রেফতার হওয়ার পুর্বে বিশেষ ব্যবস্থায় বাংলাদেশের স্বাধীনতার চুড়ান্ত ঘোষনা দেন। যা কালুর ঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে সরাসরি ঘোষনা করা হয়। শুরু হয় বাংলার মুক্তির সংগ্রাম।স্বাধীনতার সংগ্রাম।
পরের ইতিহাস,ন’মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ। দু’লক্ষ মা-বোনের সম্ব্রমহানী। ত্রিশ লক্ষ শহীদের আত্মত্যাগ। আমরা পাই লাল সবুজের রক্তিম পতাকা। অর্জিত হয় বাংলার স্বাধীনতা।
Related Posts

"ভাষা"
ফয়েজ আহমেদ
বাংলা মোদের,মায়ের ভাষা
বাংলা মোদের,হৃদয় আশা,
বাংলা ভাষায় বলি কথা
বাংলায় দেখি,স্বপ্ন আশা।
বাংলা ছিল,মায়ের ভাষা
কেড়ে নিতে,চাইলো ওরা,
মুখে মোদের,চাইলো দিতে
বসায় ওদের,নিজের ভাষা।
গর্জে উঠল,আমার ভাইরা
বাংলা রবে,মোদের ভাষা,
মিছিল-মিটিং,করছে তারা
মানবো নাতো,ওদের কথা।
চলছে এবার,মিছিল মিটিং
সামাল দেয়া,হয়েছে কঠিন,
ছাত্র-জনতা,বেধেছে ...
READ MORE
"রোজা"
-ফয়েজ আহমেদ
নীল আকাশে উঠল ভেসে
মহাখুশির চাঁদ,মুমিন সকল
খাসদিলে,করবে রোজা কাল।
খাবে সেহরী,রাখবে রোজা
এইতো সবার,মনের আশা
পুর্ন হবে,সকল অভিলাশ।
নীল আকাশের,সোনালী চাঁদ
সবার মাঝে,আনন্দ-উচ্ছ্বাস
এলো খুশির,মাহে রমজান।
নীল আকাশের,বাঁকা চাঁদে
সকল মুমিন,স্বপ্ন খোজে
মাবুদ দিবে,এবার নিস্তার।
মাস ব্যাপি,রাখবে রোজা
পড়বে নামায,করবে দোয়া
সকল ...
READ MORE
মাসুদ পার্কে বসে আছে। রীতা মাসুদকে জরুরী ভাবে এখানে আসতে বলেছে। আজ রীতা আর মাসুদের ভালবাসার পরিনতির ফায়সালা হবে। চুড়ান্ত বোঝা-পড়া হবে।ভালবাসা নিয়ে টানপোড়েন নিষ্পতি করবে ওরা। ক'দিন থেকে রীতা ...
READ MORE
"রহিমুদ্দিনের কৃতজ্ঞতা"
( করোনা কালের একটি ছোট গল্প )
-ফয়েজ আহমেদ।
রহিমুদ্দিনের চোঁখ দিয়ে নিরবে পানি ঝড়ছে। একটা বোবা কান্না তার বুক চিড়ে বেরিয়ে আসতে চায়। কিন্তু সে কাদতে পারছেনা। রাত ৩ টা ...
READ MORE
"আজব স্বপ্ন"
-ফয়েজ আহমেদ।
গ্রামের নাম কাজলীয়া। সবুজ ঘেরা সুন্দর একটি গ্রাম। যতদুর চোঁখ যায়,শুধু প্রকৃতিক সবুজ লীলা ভূমি। গ্রমের লোকজন অত্যান্ত শান্তি প্রিয়। তারা সকলে ওই গ্রামে মিলে মিশে বসবাস করেন। ...
READ MORE
"নিষ্ঠুর করোনা"
ফয়েজ আহমেদ।
দু'চোঁখ দিয়ে নিরবে গড়িয়ে পড়ছে অশ্রু। কিছুতেই থামাতে পারছেন না জোসনা বেগম। তার বুক চিড়ে বোবা কান্না বেড়িয়ে আসছে। ইচ্ছা করছে চিৎকার করে কান্না করতে। তাও পারছেন না। ...
READ MORE
"পল্টিবাজ"।
-- ফয়েজ আহমেদ।
জামাল সাহেব সভাপতি প্রার্থী। দলের কাউন্সিল চলছে। সভাপতি পদে আরও পাঁচ জন প্রার্থী আছেন। সভাপতি ও সম্পাদক নির্বাচিত করার জন্য ১৬৭ জন কাউন্সিলর তালিকা প্রস্তত করা আছে।
কেন্দ্রীয় ও ...
READ MORE
"দ্বি-চারিনী"
ফয়েজ আহমেদ।
রাস্তা দিয়ে হেটে যাওয়ার সময় একটি পরিচিত নারী কন্ঠ ভেসে আসে সাকিলের কানে। কন্ঠটা রাস্তার পাশের ওই বাড়ীটা থেকে আসছে। বাড়ীটা সাকিলের পরিচিত। আব্দুল হকের বাড়ী। সাকিলের এক কাছের ...
READ MORE
"মেয়টাকে ভাল রেখ"
-ফয়েজ আহমেদ।
রাত দু'টো বাজে। হাইওয়ে ডিউটি চলছে। হঠাৎ ফোনটা বেজে ওঠল। এত রাতে কে ফোন করছে। আরিফ পকেট থেকে ফোনটা বের করে। বাড়ী থেকে ফোন। স্ত্রী মাজেদা করেছে।এত রাতে ...
READ MORE
কোভিড-১৯"
-ফয়েজ আহমেদ
বিশ্ব এখন অচল অসাড়
উৎপাদনের চাকা বেকার
উন্নয়ন ধারা থমকে আছে
কোভিড-১৯ ত্রাস চালাচ্ছে।
চলেনা আর গাড়ী ঘোড়া
ব্যবসা-বানিজ্যে দৈনদশা
মেশিন গুলো ধোয়া মোছা
দোকান-পাটে নাই সওদা।
বিশ্ব বাজার সাটার ডাউন
বিমান-জাহায লক ডাউন
মৃত্যুর মিছিল যখন তখন
বিশ্বে এখন ...
READ MORESpread the love