নীলফামারীর সৈয়দপুরে পাইকারী কাঁচাবাজার ব্যবসায়ী সমিতির উদ্যোগে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার (১৪ জুন) বেলা ১২ টায় শহরের বাইপাস সড়ক সংলগ্ন সমিতির নিজস্ব বাজারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন সমিতির উপদেষ্টা আলহাজ্ব আব্দুল কুদ্দুস মন্ডল।
পৌর কাঁচাবাজার নিয়ে সৃস্ট ঘটনার বিষয়ে লিখিত বক্তব্য পেশ করেন সমিতির সভাপতি মিজানুর রহমান লিটন।সাংবাদিকগনের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন,সাধারণ সম্পাদক তোফায়েল মোহাম্মদ আজম।
বক্তব্য রাখেন ইকু গ্রুপের চেয়ারম্যান শিল্পপতি আলহাজ্ব সিদ্দিকুল আলম,দৈনিক”মুক্তভাষা”পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক ফয়েজ আহমেদ,সাংবাদিক এম আর আলম ঝন্টু প্রমুখ।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, সংঠনের সিনিয়র সহ সভাপতি মোস্তফা মারুফ বিন কবির, সহ সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম শাহিন, সাংগঠনিক সম্পাদক বজলার রহমান বাবলুসহ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
লিখিত বক্তব্যে সভাপতি জানান, দীর্ঘ ৫০ বছর ধরে পাইকারী কাঁচামাল (সবজি আড়ৎ) ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করে আসছেন। প্রথমে এটি শহরের শহীদ ডাঃ জিকরুল হক সড়ক সংলগ্ন আজিমুদ্দিন হোটেলের পিছনে রেলওয়ে কোয়াটারের পাশে গড়ে ওঠে এই বাজার।
পরবর্তীতে ১৯৯৪ সালে শহরের শহীদ তুলশীরাম সড়কস্থ নয়াবাজার এলাকায় বিশেষ পল্লী উচ্ছেদ হলে সেখানে এই পাইকারী ব্যবসা শুরু করা হয়।
এস্থানে পৌর পরিষদের নিজস্ব ১২ শতক, খাস জমি ৩ শতক এবং ৩৬ শতক ব্যক্তিমালিকানাধীন জমি আছে।
এই বাজারটি ও আগের রেলওয়ে বাজারটি শহরের আবাসিক এলাকায় গড়ে ওঠায় এবং দোকান মালিকরা ২ বছর পর পর ভাড়া বৃদ্ধির কারণে ব্যবসায়ীরা অর্থনৈতিক ও ব্যবসায়ীকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছিল। তাছাড়া গাড়ী পার্কিঙ ও প্রবেশের সুযোগ না থাকায় মালামাল লোড আনলোড করার ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ভ্যানভাড়া দিতে হয় এবং মালামালও নষ্ট হয়।
এছাড়া ব্যস্ততম শহীদ তুলশীরাম সড়কে সৃষ্টি হয় চরম যানজট। এতে ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পরিপূূর্ণ এ সড়কে চলাচলকারীরাসহ শিক্ষার্থী, বিমানযাত্রী ও অফিসগামী নানা পেশার মানুষ বিড়ম্বনার শিকার হয়।
এ সমস্য সমাধানের লক্ষ্যে দুই বাজারের সকল ব্যবসায়ীরা সম্মিলিতভাবে বিগত ২০০৮ সালে ৯৬ জন সদস্য নিয়ে সৈয়দপুর পৌর পাইকারী কাঁচামাল ব্যবসায়ী সমিতি গঠন করেন।
সমিতির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শহরের যানজটমুক্ত করতে ও সকল সমস্য সমাধানে নিজস্ব অর্থায়নে ২০১২ সালে ১১২ শতক জমি ক্রয় করা হয় সৈয়দপুর-রংপুর বাইপাস সড়ক সংলগ্ন মিস্ত্রিপাড়া সেপটি ট্যাংক এলাকায়।
পরর্বতীতে ২০১৫ সালে প্রায় ২ কোটি টাকা ব্যাংক ঋন নিয়ে নির্মান করা হয় প্রায় শতাধিক দোকান। যা লটারীর মাধ্যমে সমিতির সদস্যদের মধ্যে পজেশন হস্তান্তর করা হয়।
কিন্তু দীর্ঘদিন থেকে নতুন জায়গায় বাজারটি স্থানান্তর করা হয়নি। করোনা পরিস্থিতির কারণে গত ১১ এপ্রিল উপজেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটি, পৌর পরিষদ, থানা প্রশাসন যৌথ উদ্যোগে শহরে জনসমাগম এড়াতে পাইকারী কাঁচা বাজার এখানে স্থানান্তর করেন।
বিগত ৩ মাস যাবত অত্যন্ত সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশে এখানে বাজার পরিচালিত হচ্ছে।
এমতাবস্থায় ১ জুন সরকার লকডাউন শিথিল করার প্রেক্ষিতে নয়াবাজারের পূর্বের স্থানের কতিপয় মধ্যসত্বভোগী স্বার্থান্বেষী মহল আবারও শহরের ভিতরে কাঁচাবাজার পূনঃস্থাপনের ষড়যন্ত্র শুরু করেছে।
এই ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে উপজেলা প্রশাসনসহ পৌর কর্তৃপক্ষ ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সমন্বয়ে গৃহিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বাজার স্থায়ীভাবে বাইপাস সড়কে পরিচালনার ঘোষণা প্রদানের বিরুদ্ধে গত ১১ জুন বৃহস্পতিবার গুটি কয়েক ব্যবসায়ী যারা পৌরসভার নিজস্ব জমি ও খাস জমি দখল করে বিনা পয়সায় ব্যবসা করছেন এবং দোকানমালিকরা কিছু ভাড়াটিয়া লোকজনকে দিয়ে সাদা কাপড় পড়ে বিক্ষোভ প্রর্দশন করায়।
বক্তব্যে আরো বলা হয়, আন্দোলনের সাথে প্রকৃত পাইকারী কাঁচামাল ব্যবসায়ী বা আড়তদার কেউ জড়িত নেই। আমরা বাইপাস সড়কের নিজস্ব জমিতে নির্মিত আমাদের নিজেদের দোকানেই ব্যবসা পরিচালনা করতে চাই। এক্ষেত্রে তারা প্রশাসনসহ সংবাদকর্মী ও সৈয়দপুরের সচেতন জনগণের সহযোগিতা কামনা করেন।









