নীলফামারীর প্রথম শ্রেণীর সৈয়দপুর পৌরসভার নির্বাচন যথাসময়ে অনুষ্ঠানের জন্য দ্রুত তফশিল ঘোষনার দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল ও পথসভা করেছে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ সৈয়দপুর পৌর ও উপজেলা শাখার নেতাকর্মীরা।
২৬ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সন্ধায় শহীদ তুলশীরাম সড়কস্থ দলীয় কার্যালয় থেকে মিছিল বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
পরে মদীনা মোড়ে পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তব্য রাখেন, সৈয়দপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক মহসিনুল হক মহসিন, পৌর শাখার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রফিকুল ইসলাম বাবু, সৈয়দপুর কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ সাখাওয়াত হোসেন খোকন, মহিলা এমপি রাবেয়া আলিমের ছেলে প্রকৌশলী একেএম রাশেদুজ্জামান রাশেদ, আ’লীগ নেতা ফারুক হোসেন, হিটলার চৌধুরী ভলু, কামারপুকুর ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারন সম্পাদক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান জিকো আহমেদ, ছাত্রনেতা রুবেল বসুনিয়া প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, সৈয়দপুর পৌরসভা নির্বাচন নিয়ে নানামুখী ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। বর্তমান মেয়র বিএনপি’র সাবেক এমপি আমজাদ হেসেন সরকার এর সাথে জড়িত। তার ইশারায় তার উচ্ছিষ্টভোগী চক্র নির্বাচন বানচালে উঠেপড়ে লেগেছে।
দীর্ঘ ৩৫ বছর থেকে সৈয়দপুর উপজেলা পরিষদ দিয়ে শুরু করে জাতীয় সংসদ ও পৌর পরিষদের ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রেখেছে বিএনপি’র এই নেতা। কিন্তু এত দিনেও তিনি সৈয়দপুরের উল্লেখযোগ্য কোন উন্নয়ন করতে পারেন নাই। এখন দেশব্যাপী আওয়ামীলীগ সরকারের উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় সৈয়দপুরে ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে।
আওয়ামীলীগ নেতাদের প্রচেষ্টায় এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একান্ত বদান্যতায় এসব হলেও এই সাফল্যকে তার নিজের কৃতিত্ব হিসেবে জাহির করছে। কিন্তু সৈয়দপুরবাসীর কাছে বিষয়টা স্পষ্ট হয়ে যাওয়ায় অতীতের মত আর মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে আগামী নির্বাচনে তার বিজয়ী হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই বুঝতে পেরে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে।
সে কারনে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক ঘোষিত পৌর নির্বাচনের প্রথম দফার তালিকায় সৈয়দপুরের নাম থাকার কথা থাকলেও তা নেই। শোনা যাচ্ছে নির্বাচনকে স্থগিত করতে সীমানা নির্ধারন নিয়ে রিট করার প্রস্তুতি নিয়েছে মেয়র আমজাদ হোসেন সরকার। যাতে সীমানা নির্ধারন নিয়ে সৃষ্ট জটিলতা আদালত কর্তৃক সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত বিনা ভোটে সেসময়ে বর্তমান পরিষদই পৌরসভার দায়িত্বে থাকা যায়।
তার এ ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে জনগনের ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে নিজেদের পছন্দের প্রার্থীকে মেয়র ও কাউন্সিলর নির্বাচিত করে সৈয়দপুরের চলমান উন্নয়নধারাকে অব্যাহত রাখাসহ একটি পরিকল্পিত ও আধুনিক শহর হিসেবে সৈয়দপুরকে গড়ে তুলতে যথাসময়ে নির্বাচন দিতে হবে। তাই তারা অনতিবিলম্বে সৈয়দপুর পৌরসভার নির্বাচনের তফশিল ঘোষনার দাবি জানান।
তারা হুশিয়ারী উচ্চারণ করে বলেন, প্রথম পর্বে যেহেতু সৈয়দপুরকে রাখা হয়নি। তাই দ্বিতীয় পর্বে যেন কোনভাবেই এর পূনরাবৃত্তি না ঘটে। তাহলে সৈয়দপুরবাসী ষড়যন্ত্রের যে আভাস পাচ্ছে তা প্রতিহত করতে বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দিয়ে জনগনের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলায় মত্ত নেতাকে আস্তাকুড়ে নিক্ষেপ করবে।
বিক্ষোভ মিছিল ও পথসভায় প্রায় দু’ সহস্রাধিক নারী পুরুষ অংশগ্রহণ করে।









