অনেক আশা করে সরকারী চাকুরীজীবি কনে বিয়ে করেছেন তোফা। মনে তার একটাই শ্বান্তনা,এবার সংসারটা হবে। সরকারী চাকুরীজীবি বউ। অন্তত লোভ থাকবেনা। তছরুপ করবে না টাকা-পয়সা । ভাঙ্গবে না সংসার। কখনও যাবেনা তাকে ছেড়ে। তোফা মনে করেন, সরকারী চাকুরীজীবি হওয়ায় আত্মসম্মান ও মর্যাদাশালী বউ সংসারে মনোযোগী হবেন । মাসিক ইনকাম থাকায় অর্থ লালসা থাকবেনা মনে। থাকবে না অতিরিক্ত টাকার মোহ।
চাকুরীজীবি বউ পেয়ে আনন্দে আত্মহারা তোফা। মনে আর আনন্দ ধরেনা। বিয়ের পরের দিনই ঘটা করে করেন, বিয়ের অভিষেক অনুষ্ঠান। শহরের একটা অভিজাত রেষ্টুরেন্ড ভাড়া নেন। ব্যানার আর রঙ্গিন ফেষ্টুন দিয়ে সাজান অভিষেক ভেন্যু। বউয়ের সকল অফিস কলিগদের দাওয়াত করেন। অংশ নেন তাদের দু’পরিবারের সকল সদস্য। নিজের ও বউয়ের বন্ধুবান্ধবদের অংশ গ্রহনে অনুষ্ঠিত হয় জমকালো অভিষেক অনুষ্ঠান।
তোফা বাপের একমাত্র ছেলে। ঢাকায় ব্যবসা করেন। থাকেন ভাড়া বাসায়। মাঝে-মধ্যে গ্রামের বাড়িতে আসেন। বৃদ্ধ বাবা-মায়ে সাথে সময় কাটান। আবার ফিরে যান ঢাকা। বাবা-মায়ের থাকার জন্য গ্রামের প্রাচীন টিনসেড বাড়িটা ভেঙ্গে ফ্লাট বানিয়ে দিয়েছেন তোফা। বাড়ির সব ফিটিং লাগিয়েছেন বিদেশী। তোফা নতুন বউকে গ্রামের বাড়িতে তুলবেন। থাকবে বাবা-মায়ের সাথে। বাড়ি থেকেই অফিস করবেন বউ আফিয়া। বিয়ের আগে এমন কথাই হয়েছে, আফিয়ার সাথে।
তোফার বউয়ের নাম আফিয়া আফরীন। চাকুরী জনিত কারনে থাকেন,সরকারী কোয়াটারে। খাওয়া-দাওয়া সারেন অফিস মেসে। কোয়াটারে থাকার কারনে বেতন থেকে টাকা কতর্ন হয় আফিয়ার। তাই বিয়ের পর স্বামীর বাড়িতে ওঠেন আফিয়া। বাড়ি থেকেই যাতায়াত করেন অফিস। মাঝে-মধ্যে বৃহস্পতিবার অফিস শেষে যান ঢাকা। আবার রবিবার সাতটার বিমানে আসেন কর্মস্থল। মধ্যেখানে তিন রাত সময় দেন স্বামীকে। বিমানের যাতায়াত সব খরচ দেন তোফা। আবার কখনও তোফা আসেন বাড়িতে। ক’দিন থেকে, ফিরেন ঢাকা।
তোফা আর আফিয়া বিয়ের পর স্বপ্নময় সোনালী দিন পার করতে থাকেন। এভাবে কেটে যায় মাস তি’নেক। তোফা আফিয়াকে জীবন সঙ্গী হিসেবে পেয়ে ভুলে যান,আগের গ্লাণীময় সকল অতিত। পরম সুখ আর আনন্দে কাটতে থাকে তাদের জীবন। তোফার মনে হয়,এবার সে জীবনের মানে খুজে পেয়েছে। সে ভুলে যায় তার কষ্টময় অতীত। তোফার মনে হয়,তার অতীতের সিলেকশনই ভূল ছিল। তাই জীবনের সিংহ ভাগ সঞ্চয় হারিয়েছেন ভূল সিলেকশনে। তোফা মনে করতে চায়না, ওই বেদনাময় অতীত।
তোফা ইতিপুর্বে তার ব্যবসায়িক পার্টনার মালেকের বোন তমাকে বিয়ে করেছিলেন। মেয়েটিকে খুব ভালবাসত তোফা। সোনা-গহনা,জমি-জিরাত,বাড়ি,ব্যাং ক ডিপোজিট সব দিয়েছিল তোফা। মেয়েটিও খুব ভালবাসত তোফাকে। কিন্তু হঠাৎ এক দিন অজ্ঞাত কারনে সব নিয়ে উধাও হয় তমা। অনেক খুজেছে তোফা। কোন হদিস পায়নি। শুধু হাতে পেয়েছে, তমা’র দেয়া এক তরফা তালাকের নোটিশ। তোফা পরে জেনেছে,ভীন্ন দেশে পাড়ি জমিয়েছে তমা। খালাত ভাইয়ের সাথে চুটিয়ে করছেন সংসার।
এদিকে আফিয়ারও একটা সংসার হয়েছিল। কিন্তু টিকেনি। স্বামীটা নাকি বদমাইশ ছিল। আফিয়ার উপর খুব অত্যাচার করত। চরিত্রেরও নাকি দোষ ছিল। তাই আফিয়া ওই সংসারটা আর করেননি। বিয়ের পাঁচ মাসের মধ্যেই সংসার থেকে বেড়িয়ে আসেন আফিয়া। ডির্ভোস দেন ওই স্বামীকে। আর বিয়ে করেননি আফিয়া। পরে এক বড় ভাইয়ের মাধ্যমে পরিচয় হয় আফিয়া আর তোফার। দু,জন,দু’জনের জীবনের গল্প শেয়ার করেন। শেষে ওই বড় ভাইয়ের মাধ্যমে বিয়েতে বসেন তোফা আর আফিয়া।
তোফা আর আফিয়া পরস্পরকে খুব ভাল বাসেন। তাদের মধুময় দাম্পত্য সম্পর্ক গাঢ়ো বন্ধুত্বে রুপ নেয়। এক দিন আফিয়া তোফাকে জানায়, সে মা হতে চলেছে। খবরটা শুনে খুশিতে আত্মহারা হয়ে পরেন তোফা। সে আফিয়াকে খুশীতে জড়িয়ে ধরেন। তোফার বাবা-মা আরো বেশী করে আফিয়া’র যত্ন-আত্তি নিতে শুরু করেন। এভাবে পরম সুখ আর আনন্দে কাটতে থাকে তাদের জীবন। কিছু দিন পর আফিয়া তোফাকে জানায়,এই অবস্থায় বাড়ি থেকে অফিস যাতায়াত কষ্ট হচ্ছে তার। আফিয়া অফিস কোয়াটারে উঠবেন।
আফিয়ার এমন সিদ্ধান্ত জেনে, হতাশায় পরেন তোফা।আফিয়াকে বোঝানোর চেষ্টা করেন। বলেন, এমন সময় বাড়িতে থাকা দরকার। যত্ন-আত্মির একটা ব্যাপার আছে।কিন্তু কিছুই মানেনা আফিয়া। সে একক সিদ্ধান্তে বাড়ি থেকে আবার কোয়াটারে ফিরে আসেন। তোফার বাবা-মা নিয়মিত খোজ-খবর নেন আফিয়ার। ভাল-মন্দ খাবার দিয়ে আসেন। আফিয়া শ্বশুড়-শ্বাশুড়িকে কোয়াটারে আসতে বারণ করে দেন। বলেন,কোন খাবার না পাঠাতে। খবরটা শুনে হতবাক হন তোফা।
ব্যবসায়িক কাজে পনের দিনের জন্য সিঙ্গাপুর যাবেন তোফা। স্ত্রী আফিয়ার হাতে প্রয়োজনীয় টাকা-পয়সা দিয়ে বলেন,নিজের যত্ন নিতে। নিয়ম করে ডাক্তার দেখাতে। এর পর রওয়ানা হন সিঙ্গাপুর। তোফা সিঙ্গাপুরে এসে আটকে যান। করোনা ভাইরাস সংক্রমনের কারনে আর্ন্তজাতিক বিমান বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। সিঙ্গাপুর জুড়ে দেয়া হয়েছে লক ডাউন। কোন ভাবে দেশে আসতে পারছেন না তোফা। এভাবে কেটে যায় প্রায় দুমাস। এরি মধ্যে আফিয়া মোবাইলে তোফাকে জানায়,সে গর্ভের সন্তান নষ্ট করে ফেলেছে। এখনই মা হতে চায়না আফিয়া।
খবরটা শুনে কেঁদে ফেলেন তোফা। তার মাথায় যেন আকাশ ভেঙ্গে পড়ে। এমন অমানবিক কাজ করার জন্য মনের কষ্টে আফিয়াকে গাল-মন্দ করেন। এসময় আফিয়া তোফাকে জানিয়ে দেয়,সংসার ভাঙ্গার কথা। আফিয়া বলেন,সে তোফার সাথে আর সংসার করবেন না। তাই সে গর্ভের সন্তান নষ্ট করেছেন। আফিয়ার মুখে সংসার ভাঙ্গার কথা শুনে বিচলিত হয়ে পড়েন তোফা। সে আফিয়াকে বোঝানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু আফিয়ার স্থির সিদ্ধান্ত, সে কিছুতেই সংসার করবেন না। এরপর ফোনটা বন্ধ করে দেন আফিয়া ।
আফিয়ার সিদ্ধান্ত কিছুতেই মানতে পারেন না তোফা। তার তো কোন দোষ নেই। তাহলে আফিয়া সংসার ভাঙ্গবেন কেন? কিছুই বুঝতে পারেন না তোফা। তার শুধু মনে হয়,লক ডাউনে আটকে যাওয়ায় কি কাল হল তোফার ? বাবা-মাকে ফোন দিয়ে ঘটনা আঁচ করার চেষ্টা করেন তোফা। বাবা-মা জানান, আফিয়া তাদেরকে কোয়াটারে যেতে নিষেধ করেছেন। তবুও গিয়েছিল তারা। কিন্তু আফিয়া অপমানজনক ব্যবহার করেছেন। বলেছেন,আর যেন কখনও না আসেন। বাবা-মায়ের কাছে এমন কথা শুনে, আরও ঘাবড়ে যান তোফা।
বিদেশে কোন ভাবে মন টিকছে না তোফার। সে খাওয়া দাওয়া ছেড়ে দিয়েছে। শুকিয়ে কাঠ হয়ে গেছে তোফার শরীর। এদিকে আফিয়ার ফোন বন্ধ। আফিয়ার সাথে কোন ভাবেই যোগাযোগ করতে পারছেনা তোফা। অবশেষে তোফা সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশ দূর্তাবাসে যোগাযোগ করেন। দেশে ফিরিয়ে নেয়ার জন্য আকুতি জানান। দুর্তাবাসের মাধ্যমে অতিরিক্ত অর্থ ব্যয়ে তিন মাস পর একটি বিশেষ বিমানে দেশে আসেন তোফা। স্বাস্থ্য বিধির শর্তানুযায়ী চৌদ্দ দিনের হোমকোয়ারেন্টিনে থাকেন। এদিকে আফিয়ার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেন। কিন্তু আফিয়া যোগাযোগ করতে অনীহা জানান।
তোফার হোম কোয়ারেন্টিনের আজ চৌদ্দ দিন পুর্ন হবে। তোফা ঠিক করে রেখেছেন,কাল আফিয়ার কাছে যাবেন। আফিয়ার সব ভুল ভাঙ্গাবেন। কোন ভাবে সংসার ভাঙ্গতে দিবেন না । এসময় বাড়ীর কলিং বেল বেজে ওঠে। তোফার মা জানায়,পিয়ন এসেছেন,চিঠি নিয়ে। তোফা ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন। চিঠিটা সই করে নেন। ঘরে গিয়ে চিঠিটা খুলেন। দেখেন,আফিয়া কতৃক এক তরফা তালাকের নোটিশ। তোফার হৃদয়টা ভেঙ্গে চুরমার হয়ে যায়। চোঁখের কোনে জমা হয় কয়েক ফোটা অশ্রু জল। তোফা তালাকের নোটিশ পেয়ে ভারাক্রান্ত মন নিয়ে শুধু ভাবেন,হোম কোরেন্টাইন সময়টাও অপেক্ষা করল না আফিয়া। কি এমন তাড়া ছিল আফিয়ার?
তোফার মনে হয়,তার বিদেশে আটকে পড়া সময়ে হয়ত আফিয়া কোন জালে জড়িয়ে পরেছিল। হয়ত বড় কোন অফার পেয়েছিল আফিয়া। তাই তোফাকে ত্যাগ করেছেন। তোফা মনে মনে ভাবেন,আফিয়া জীবন নিয়ে জুয়া খেলছেন। এই জুয়া খেলা একদিন কাল হবে আফিয়ার। তোফা মনে কষ্ট নিয়ে ফিরে আসেন ঢাকা। মনোনিবেশ করেন,নিজের ব্যবসায়। কিন্তু কোন ভাবে সে ভুলতে পারেনা আফিয়াকে।
এভাবে কেটে যায় মাস। হঠাৎ একদিন একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালে চোঁখ যায় তোফার। দেখেন,আফিয়াকে নিয়ে সংবাদ করা হয়েছে। হেড দেয়া হয়েছে,”বিয়ের প্রলোভনে আফিয়ার সর্বনাশ”। তোফা ওই সংবাদ পড়ে জানতে পারেন, একজন সিনিয়র অফিসার বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল আফিয়াকে। একাধীকবার করেছিল মেলা-মেশা। ওই অফিসারের কথায় গর্ভপাত করেছিল আফিয়া। স্বামীকে দিয়েছিল তালাক। কিন্তু এখন আফিয়াকে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। আফিয়া ওই অফিসারের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে মামলা করেছেন।
Related Posts

"পক্ষ"
-ফয়েজ আহমেদ
ঘটনাস্হল খাতামধুপুর,রাজনীতি সৈয়দপুরে
এমনভাবে চলতে থাকলে,ক্ষতি সবার হবে,
দুইটা পক্ষ দুই দিকে,রাজনীতি করছে জানি
স্বচ্ছ রাজনীতি চাই মোরা,নয় অপরাজনীতি।
দড়ি ধরে টানাটানি,করছে দুই প্রভাবশালী
সত্য মিথ্যার চলছে লড়াই,জানি সবাই জানি,
দোষী কিনা যাছাই করা,নয়তো কারো ...
READ MORE
মাস্টার্স পাশ করেও কোন চাকুরী জোগাড় করতে পারেনি তৈমুর। রাত-দিন অনেক দালালের পিছনে ঘুরেছেন। একটা চাকুরীর প্রত্যাশায়। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। মধ্যখানে তার গাটের টাকা গেছে জলে। সর্বশেষ এক ...
READ MORE
কলঙ্কে ভরা জীবনটা আর বয়ে বেড়ানোর ইচ্ছে নেই কাকলীর। কাকলী কোন দিনও ভাবেনি তার জীবনে লাগবে কলঙ্কীনি দাগ। কলঙ্কীনি দাগ লাগার মত কেন কাজ করেনি কাকলী। সে একজনকে বিশ্বাস করেছিল। ...
READ MORE
"চুলকানী"।
-ফয়েজ আহমেদ।
দলের নিকট বারবার ধর্না দিয়েও নমিনেশন পেলেন না কামরুল সাহেব। মোটা অংকের টাকাও দিয়েছেন,তবুও গলাতে পারেননি মন। কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ কোনভাবেই কামরুল সাহেবকে নমিনেশন আর দিলেন না। দীর্ঘ দিনের পরিক্ষীত,কর্মী ...
READ MORE
যুদ্ধ চাই"
-ফয়েজ আহমেদ
যুদ্ধ চাই,ভৌগলিক রেখার নয়
স্বাধীনতা চাই,সেই পতাকার নয়,
সংগ্রাম চাই,রুখতে,অশুভ ব্যাধি
আরেকটি যুদ্ধ চাই,করতে শুদ্ধির।
যুদ্ধ চাই আনতে,শুভ রাজনীতি
অফিস-আদালত হবে,মুক্ত র্দূনীতি,
সামাজিক স্তরে চাই,প্রকৃত সেবা
যুদ্ধ চাই মোরা,সুশাসন প্রতিষ্ঠার।
যুদ্ধ চাই,আনতে মানবতার সুদিন
গাইবে সবাই,মানবিক গান ...
READ MORE
"ভাষা"
ফয়েজ আহমেদ
বাংলা মোদের,মায়ের ভাষা
বাংলা মোদের,হৃদয় আশা,
বাংলা ভাষায় বলি কথা
বাংলায় দেখি,স্বপ্ন আশা।
বাংলা ছিল,মায়ের ভাষা
কেড়ে নিতে,চাইলো ওরা,
মুখে মোদের,চাইলো দিতে
বসায় ওদের,নিজের ভাষা।
গর্জে উঠল,আমার ভাইরা
বাংলা রবে,মোদের ভাষা,
মিছিল-মিটিং,করছে তারা
মানবো নাতো,ওদের কথা।
চলছে এবার,মিছিল মিটিং
সামাল দেয়া,হয়েছে কঠিন,
ছাত্র-জনতা,বেধেছে ...
READ MORE
"কবর পেল শাবনুর"
-ফয়েজ আহমেদ।
মেয়ের সাথে ফোনে কথা বলে অঝোরে কাঁদতে থাকে আবুল হোসেন। একটি মাত্র মেয়ে তার। আর কোন ছেলে পুলে নেই। অভাবের তাড়নায় মেয়েটিকে ঢাকায় পাঠিয়েছিল আবুল হোসেন। মেয়েটিকে ...
READ MORE
"আমি বাঙ্গালী"
-ফয়েজ আহমেদ
আমি বাঙ্গালী,বীর আমি,মহাবীর
দুঃসাহসী নির্ভীক,মৃত্যুন্জয় আমি,
ভয়,সেটা আবার কি?জানা নেইতো
আমি বঙ্গবন্বুর জ্বালাময়ী ভাষন,কবিতা।
৭মার্চের ঐতিহাসিক ডাক,নির্ভয়তা আমি
আষাঢ়ের বজ্রপাত,আমি কঠিন বজ্রশক্তি,
দুচোঁখে যুদ্ধের নেশা,আমি স্বাধীনতাকামী
বিজয় ছিনিয়ে নেয়া, রক্তিম হতিহাস আমি।
মনে নেই একাত্তর,আমি তার ...
READ MORE
ভীটে মাটি নেই নন্দ লালের। অন্য মানুষের পুকুর পাড়ের এক কোনে ঝুপড়ি ঘর তুলে বসবাস করেন নন্দ। স্ত্রী ও তিন কন্যাকে নিয়ে গাদাগাদি করে অস্থাস্থ্যকর এক জীবন পার করছে সে। গত ...
READ MORE
"ফাঁপরবাজ নেতা"।
( ফয়েজ আহমেদ এর নির্বাচনী ছোট গল্প)
তামান্না মোড়ে চলছে নির্বাচনী পথ সভা। পথ সভা রুপ নিয়েছে এক প্রকার জনসভায়। চারিদিকে শুধু মানুষ। রংপুর রোডটি জানজটে পরিনত হয়েছে। জানজট নিরসনে ...
READ MORE