আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত হেলেনা জাহাঙ্গীর কে গ্রেফতার করা হয়েছে।হেলেনা জাহাঙ্গীরের বাড়িতে প্রায় চার ঘণ্টা অবস্থানের পর তাকে আটকের কথা জানায় র্যাব।
বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে তাকে বাড়ি থেকে তুলে নেওয়ার পর র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল কে এম আজাদ সাংবাদিকদের বলেন, “তাকে আটক করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।”
গ্রেফতারের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “তার বাসায় মদ, হরিণের চামড়া, ক্যাসিনো বোর্ড, ওয়াকিটকিসহ বেশ কিছু অবৈধ সরঞ্জাম পাওয়া গেছে।”
সম্প্রতি আলোচনায় উঠে আসা হেলেনা জাহাঙ্গীরের গুলশানের বাড়িতে রাত ৮টার দিকে এই অভিযান শুরু করে র্যাব। ঘণ্টা দুয়েক পর র্যাবের নারী সদস্যদের সেখানে ঢুকতে দেখা যায়।
এরপর রাত সোয়া ১২টার দিকে র্যাবের সদস্যদের সঙ্গে বেরিয়ে আসেন হেলেনা জাহাঙ্গীর। তার মুখে ছিল মাস্ক। পরনে ছিল চেক জামা ও হলুদ ওড়না।
কী বিষয়ে এই অভিযান, সেই বিষয়ে তখন কিছু বলতে চাননি এই র্যাব কর্মকর্তা।
তিনি বলেন, “তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। অভিযানের বিষয়ে পরে জানানো হবে।”
দেশের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইর পরিচালক হেলেনা জাহাঙ্গীর জয়যাত্রা গ্রুপের কর্ণধার। তিনি নিজেকে আইপি টিভি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি হিসেবেও পরিচয় দেন।
হেলেনা জাহাঙ্গীর আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক উপকমিটিতে সদস্য ছিলেন। কুমিল্লা জেলা আওয়ামী লীগেরও উপদেষ্টা পরিষদে ছিলেন তিনি।
‘বাংলাদেশ আওয়ামী চাকরিজীবী লীগ’ নামের একটি ‘ভূইফোঁড়’ সংগঠনের সঙ্গে হেলেনা জাহাঙ্গীরের সম্পৃক্ততার খবর প্রকাশ হলে তাকে দুই কমিটি থেকেই বাদ দেয় আওয়ামী লীগ।









